আমাদের আজকের আয়োজন সহবাসের সময় কোন তেল ব্যবহার করা ভালো সেই সম্পর্কে। সহবাসের সময় অনেক নারীদের যোনি পথ প্রয়োজনীয় পিচ্চিল হয় না। ফলে সহবাসের সময় ঘর্ষণ বেড়ে যায়। এমনটা হলে সহবাসে মজা তো লাগেই না বরং তীব্র ব্যথা অনুভব হয়। তাই সহবাসের ঘর্ষণ কমাতে আমরা বিভিন্ন প্রকার তেল ও লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সহবাসের সময় কোন তেল ব্যবহার করা ভালো তা অনেকেই জানে না। সহবাসের সময় তেল ব্যবহার করা স্বাভাবিক একটা ঘটনা।
তেল ব্যবহারে সহবাসকে আরামদায়ক ও আনন্দদায়ক করতে সাহায্য করে। তবে সব তেল সহবাসের জন্য উপযুক্ত নয়। কিছু কিছু তেল ব্যবহারে ত্বকে জ্বালাপোড়া ও সংক্রমন হতে পারে। তাই তেল ব্যবহার করে সহবাসের পূর্বে ভালো তেল ব্যবহারের বিকল্প নেই। চলুন জেনে নেয়া যাক, সহবাসের সময় কোন তেল ব্যবহার করা ভালো :-
সহবাসের সময় কোন তেল ব্যবহার করা ভালো
নারিকেল তেল
নারিকেল তেল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সহবাসের সময় নারিকেল তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এটি সহজলভ্য এবং স্বল্পমূল্যে বাজারে পাওয়া যায়। তবে সহবাসের সময় নারিকেল তেল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই অ্যালার্জি পরিক্ষা করে নিতে হবে।নারিকেল তেল কনডমের সাথে ব্যবহার করা যাবে না। কনডমের সাথে নারিকেল তেল ব্যবহার করলে, কনডমের কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে সহবাসের মাঝপথে কনডম ফেটে যেতে পারে। খাঁটি নারিকেল তেল সহবাসে ব্যবহার করা নিরাপদ তবে কনডমের সাথে নারিকেল তেল ব্যবহার না করাই ভালো।

অলিভ অয়েল
সহবাসের সময় অলিভ অয়েলের ব্যবহার ব্যাপক জনপ্রিয়। প্রাচীনকাল থেকেই সহবাসের জন্য এই তেল ব্যবহার করা হয়। এই তেল স্বাভাবিক তেলের চেয়ে অনেক বেশি ঘন। যার ফলে সহবাসের পিচ্চিলতা হয় অনেক বেশি। সাধারণ নারিকেল তেলের চেয়ে অলিভ অয়েল দিয়ে সহবাসে অনেক বেশি আরাম ও মজা পাওয়া যায়।
নারিকেল তেল দিয়ে সহবাস করলে শক্রানো চলাচলে বাধা দেয়। কিন্তু অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে এমন সমস্যায় পড়তে হয় না। নারিকেল তেলের মতো অলিভ অয়েলের সাথেও কনডম ব্যবহার করা উচিত নয়।
জল ভিত্তিকক লুব্রিকেন্ট
সহবাসের পিচ্চিলতা বাড়াতে জল ভিত্তিক লুব্রিকেন্ট সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নিরাপদ। যে কোনো তেল ব্যবহারের চেয়ে ভালো মানের লুব্রিকেন্ট ব্যবহার বেশি নিরাপদ বলে মনে করা হয়। সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও লুব্রিকেন্ট নিরাপদ। তবে সহবাসে ভালো মানের লুব্রিকেন্ট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কনডম ও সিলিকন খেলনার সাথে জল ভিত্তিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা যায়। সহবাসের পর খুব সহজেই পরিষ্কার করে নেয়া যায়।

আরও পড়ুন:- সরিষার তেল দিয়ে সহবাস করলে কি হয়
সিলিকন ভিত্তিক লুব্রিকেন্ট
অধিক সময় সহবাস করতে সিলিকন ভিত্তিক লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করতে পারেন। সিলিকন লুব্রিকেন্ট একবার ব্যবহার করলেই অনেক সময় সহবাস করা যায়। কনডমের সাথে এটি ব্যবহারে তেমন কোনো সমস্যা দেখা যায় না। সহবাসের সময় সিলিকন লুব্রিকেন্ট খুব কার্যকর একটি উপায়। তবে সহবাসের পূর্বে অ্যালার্জি পরিক্ষা করে নেয়া ভালো।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট হিসেবে ভালো কাজ করে। অ্যালোভেরা জেল কনডমের সাথে ব্যবহারও নিরাপদ। এতে কনডমের কার্যকারিতা অক্ষুন্ন থাকে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য আরামদায়ক ও শীতল।

সহবাসের সময় যেসব তেল ব্যবহার করা যাবে না
- সহবাসের সময় বেবি অয়েল ব্যবহার না করাই ভালো। বেবি অয়েলে রয়েছে রাসায়নিক উপদান। যা সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালাতন সৃষ্টি করতে পারে এবং যৌনাঙ্গে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- সরিষার তেল তীব্র ঝাঁঝালো হওয়ায় সহবাসে ব্যবহার করলে যোনিতে জ্বালাতন হতে পারে। যোনির PH মান পরিবর্তন হয়ে যায়। এর ফলে সংক্রমণের ঝুকি বেড়ে যায়।
- অনেকে সহবাসের সময় ভ্যাসলিন ব্যবহার করে। সহবাসের সময় ভ্যাসলিন ব্যবহার একদম ঠিক না। এসব ব্যবহারে যোনিতে সংক্রমণ হতে পারে।
- রান্নায় ব্যবহৃত সর্ষের তেল, ভেজিটেবল অয়েল, বা পেট্রোলিয়াম জেলি সহবাসের সময় ব্যবহার করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন:- প্রথমবার সহবাস করলে কি রক্ত বের হয়
কনডম দিয়ে যদি সহবাস করেন তাহলে নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল এসব ব্যবহার করবেন না। এতে কনডমের কার্যকারিতা কমে, কনডম ফেটে যেতে পারে। কনডমের সাথে জল ভিত্তিক বা সিলিকন ভিত্তিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করাই নিরাপদ। লুব্রিকেন্ট ব্যবহারে কনডম ফাটে না এবং সংক্রমণেরও ঝুঁকি থাকে না।
আমাদের আজকের আয়োজন ছিলো সহবাসের সময় কোন তেল ব্যবহার করা ভালো সেই সম্পর্কে। সহবাসের সময় তেল ব্যবহার করলে সহবাস আরও আরামদায়ক হয়ে উঠে। তবে সহবাসে তেল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই অ্যালার্জি পরিক্ষা করে নিতে হবে। কোনো তেল দিয়ে সহবাস করার পর জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হলে তা আর ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ponamas। পোনামাছ। সহবাসের সময় কোন তেল ব্যবহার করা ভালো।
ছবি সংগ্রহীত।