আমাদের আজকের আয়োজন লিপ কিস কিভাবে করতে হয় বা লিপ কিস দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। লিপ কিস হলো ঠোঁটে ঠোঁট স্পর্শ করে আলতো কোমল চুম্বন। লিপ কিসের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়। লিপ কিসের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। তবে লিপ কিস কিভাবে করতে হয় তা অনেকেই জানে না। তাই আজ আমরা লিপ কিস করার পদ্ধতি সম্পর্কে বলতে চলেছি। লিপ কিস আমাদের মানসিক চাপ কমায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, সেই সাথে আমাদের শরীরের হ্যাপি হরমোন নিঃসরন করে যা আমাদের মনকে চাঙ্গা রাখে। চলুন জেনে নেয়া যাক, লিপ কিস কিভাবে করতে হয় :-
লিপ কিস কিভাবে করতে হয়
লিপ কিস দেওয়ার নিয়ম
- প্রথমে নরম ও আলতো ভাবে আপনার সঙ্গীর ঠোঁটে একটা চুমু দিন।
- আলতো করে ঠোঁট চুষে দিন। আলতো করে চাপ দিন।
- ধীরে ধীরে ঠোঁটে চাপ বাড়িয়ে দিন আর আলতো করে চুষে দিন। (তারাহুরো বা শক্ত করে ধরবেন না)
- এবার জিহ্বা দিয়ে আপনার সঙ্গীর ঠোঁট পাশাপাশি তার জিহ্বা টা লেহন করে দিন। দুজনে জিহবা হালকা ভাবে ম্যাসাজ করুন।
- লিপ কিস করার সময় আপনার হাত সঙ্গীর কোমড় বা কাঁধে হাত রাখুন। এতে লিপ কিস আরো মধুর হয়ে উঠবে।
- লিপ কিসের সময় আপনার চোখ বন্ধ রাখুন তবে মাঝে মাঝে তার রিয়াকশন দেখতে পারেন। লিপ কিস করার সময় আপনার নাকের মাধ্যমে নিশ্বাস ছাড়তে হবে।
- মাঝে একটু বিরতি নিন তারপর আবার শুরু করুন। যে যত সুন্দর ভাবে তার সঙ্গীর ঠোঁট চুষে দিতে পারবে তার লিপ কিস তত বেশি মজার হবে।

সতর্কতা
- লিপ কিসের পূর্বে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
- নিয়মিত দাঁত পরিস্কার করুন এবং মুখে দুর্গন্ধ থাকলে তা দূর করার ব্যবস্থা করুন।
- লিপ কিসের জন্য এমন জায়গা বেছে নিন যা শান্ত, প্রাইভেট এবং নিরিবিলি থাকে।
- শুরুতে কখনো জোরে কামড়ে ধরা যাবে না।
- সম্পূর্ণ কিসটা করতে হবে আলতো ও নমনীয় ভাবে।
- লিপ কিসের পূর্বে পিঁয়াজ, রসুন খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন:- ফ্রেঞ্চ কিস করার নিয়ম
লিপ কিস করার উপকারিতা
লিপ কিস দেওয়ার নিয়ম জেনে লিপ কিস করলে, লিপ কিস করার উপকারিতা পাবেন অনেক। লিপ কিস এর মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি আরো অনেক উপকার পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক, লিপ কিস করলে কি উপকার হয় :-
- লিপ কিসের মাধ্যমে আমাদের মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায়। কারণ লিপ কিসের সময় বেশ কিছু হরমোন নিঃসরন হয়। যেমন: ডোপামিন, অক্সিটোসিন,ডোপামিন ইত্যাদি।এতে অনেক বেশি আনন্দ পাওয়া যায়।
- লিপ কিসের সময় আমাদের শরীরের রক্তচলাচল বেড়ে যায়। ফলে দেহের রক্তচাপ কমে যায়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- লিপ কিসের মাধ্যমে আমাদের শরীরের ব্যথা অনেকাংশে উপশম হতেও দেখা যায়। ব্যথা কমাতেও এটি বেশ উপকারি।
- লিপ কাসের মাধ্যমে সম্পর্কের মাধুর্যতা বেড়ে যায়। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ও ভালোবাসা তৈরি হয়।
- মানতে কিছুটা কষ্ট হলেও নিয়মিত লিপ কিস করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়েে যায়।
- ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের ওজনও কমিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:- সহবাসে মজা না পাওয়ার কারণ
লিপ কিস করলে কি ক্ষতি হয়
লিপ কিসের মাধ্যমে আমরা প্রচুর আনন্দ পেলেও সঠিক ভাবে লিপ কিস না করা হলে অনেক ক্ষতিও হতে পারে। নানা রকম রোগ সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। লিপ কিস কিভাবে করতে হয় তা জেনে লিপ কিস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেয়া যাক, লিপ কিস করলে কি ক্ষতি হয়:-
- লিপ কিসের মাধ্যমে খুব সহজেই জীবানু ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি হেপাটাইটিস বি,ওরাল হারপিস,সিফিলিস, মেনিনজাইটিস ইত্যাদি সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- অতিরিক্ত লিপ কিসের মাধ্যমে ঠোঁটে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় একজিমাও হতে পারে।
- সংক্রমনের ফলে ঠোঁটে অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লিপ কিস কেন করা হয়
ঠোঁটে ঠোঁট স্পর্শ করে আলতো ভাবে চুমু খাওয়াকে বলে লিপ কিস। রোমান্টিক মুহুর্তকে আরও রোমান্টিক করতে আমরা লিপ কিস করে থাকি। লিপ কিসের মাধ্যমে সহবাসের প্রতি আমাদের উত্তেজনা ও কমনাকে বৃদ্ধি করে দেয়। লিপ কিসের মাধ্যমে স্বামী স্ত্রী আরও নিজেদের কাছাকাছি চলে আসে। লিপ কিসের মাধ্যমে সহবাস শুরু করলে, যৌনতা আরও আকর্ষনীয় হয়ে উঠে। লিপ কিসে প্রচুর মজা পেতে লিপ লিপ কিস কিভাবে করতে হয় তা জেনে নিন।
লিপ কিস করা কি জায়েজ
লিপ কিসের মাধ্যমে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে উঠে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে লিপ কিস সম্পূর্ণ হালাল। তবে রোজা রেখে লিপ কিস করা যাবে না। হালাল সম্পর্কে লিপ কিস করার কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। বিবাহ ব্যতিত লিপ কিস করা সম্পূর্ণ হারাম। তবে বিবাহিত স্বামী স্ত্রীর জন্য লিপ কিস হালাল।

আরও পড়ুন:- কিভাবে কিস করলে মেয়েরা খুশি হয়
লিপ কিস করলে কি প্রেগনেন্ট হয়
অনেকে প্রশ্ন করে লিপ কিস করলে কি প্রেগনেন্ট হয় কি না? এটি সম্পূর্ণ মূর্খতার প্রমাণ। কারণ আমরা জানি ডিম্বাণু ও শুক্রানোর সংমিশ্রণে গর্ভধারন হয়ে থাকে। লিপ কিসের মাধ্যমে শুক্রানো পৌঁছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই বলা যায় লিপ কিসের মাধ্যমে প্রেগনেন্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আমাদের আজকের আয়োজন ছিলো লিপ কিস কিভাবে করতে হয় সেই সম্পর্কে। রোমান্টিক মুহুর্তকে আরও রোমান্টিক করে তুলতে পারফেক্ট লিপ কিস খুবই জরুরী। সুন্দর চুমু দুজনের সম্পর্কে আরও মধুর করে তুলে। লিপ কিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। তবে লিপ কিস করলে কি উপকার হয় তা অনেকেই জানে না। স্ত্রীকে চুমু খাওয়ার সময় তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান রাখুন। কারণ স্ত্রীকে সন্মান করতে না পারলে তার প্রতি আদর, ভালোবাসা, প্রেম সবই বৃথা।
ponamas।পোনামাছ। লিপ কিস কিভাবে করতে হয়। লিপ কিস করার পদ্ধতি। লিপ কিস দেওয়ার নিয়ম। লিপ কিস করলে কি উপকার হয়। লিপ কিসের উপকারিতা। লিপ কিস করলে কি ক্ষতি হয়।লিপ কিস কেন করা হয়। লিপ কিস করা কি জায়েজ। লিপ কিস করলে কি প্রেগনেন্ট হয়। লিপ কিসের পিক। লিপ কিস পিক।