দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

আমাদের আজকের আয়োজন দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও সমাধান সম্পর্কে। প্রথম সন্তান হওয়ার পর সবাই দ্বিতীয় সন্তান নেয়ার পরিকল্পনা করে থাকে। তবে অনেক স্বামী স্ত্রী চেষ্টা করার পরও দ্বিতীয় সন্তানের বাবা মা হতে পারে না। যদি প্রতি সপ্তাহে ২-৩ বার সহবাসের পর ও এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে না আসে, তাহলে একে বলা হয় সেকেন্ডারি ইনফার্টিলিটি। অনেকেই দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানে না। তবে আমাদের প্রত্যেকেরই দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা থাকাটা জরুরী। প্রথম বাচ্চা হওয়ার পর দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। কারণ গুলো যেমন নারীদেড ক্ষেত্রে হতে পারে তেমনি পুরুষদের ক্ষেত্রেও হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ সমূহ :-

দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ নারীদের ক্ষেত্রে

  • বয়স: বয়স জনিত সমস্যার কারণে দ্বিতীয় বাচ্চা ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে সাধারনত ৩৫ বছর পর ডিম্বানু সংখ্যা ও গুনগত মান ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এতে গর্ভধারণের সম্ভাবনাও ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রধান কারণ।
  • ওজন বৃদ্ধি: বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে প্রথম বাচ্চা যখন গর্ভে আসে এবং প্রসবের পর ওজন বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ওজনের কারণে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যার ফলে ডিম্বোস্ফোটনে সমস্যা তৈরি হয়।
  • হরমোনের ভারসাম্য হীনতা: থাইরয়েড হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা কমে গেলে বা বেড়ে গেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের সমস্যা দেখা যায়। গর্ভধারণের জন্য হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকা খুবই জরুরী।
  • জরায়ু ও টিউবের সমস্যা: প্রথম বাচ্চা হওয়ার সময় সিজারিয়ান বা অন্য কোনো ইনফেকশনের কারণে জরায়ুতে ক্ষত এবং টিউব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জরায়ুর কাঠামো গত পরিবর্তন।
  • অসুস্থতা: বেশ কিছু অসুস্থতার কারণে নারীদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এসবের মধ্যে অন্যতম ওভারি সিনড্রোম বা এন্ডোমেট্রিওসিস।
দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ
দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ

দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ পুরুষের ক্ষেত্রে

নারীদের মতো পুরুষেরও বেশ কিছু কারণে প্রজনন ক্ষনতা কমে যেতে পারে। পুরুষের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ গুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:-

  • বয়স: পুরুষের ক্ষেত্রে সাধারনত ৪০ বছরের পর ধীরে ধীরে শুক্রানো সংখ্যা ও গুনগত মান কমতে থাকে। ৪০ বছর পর ছেলেদের প্রজনন ক্ষমতা অনেকাংশে হ্রাস পেয়ে যায়।
  • অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত ওজন ছেলেদের বন্ধাত্বের অন্যতম কারণ। নির্দিষ্ট বয়সের পর ছেলেদের ওজন বেড়ে গেলে প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে। ফলে দ্বিতীয় বাচ্চা নেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়।
  • জীবন যাত্রার পরিবর্তন: ধুমপান, মদ্যপান ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহনের কারণে ছেলেদের শুক্রানোর গুনগত মান কমতে থাকে। দীর্ঘ দিন এসব নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করলে ছেলেদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। সিগারেট শরীরের ফ্যালোপাইন টিউবকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
  • মানসিক চাপ: মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা নানাভাবে শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপ থেকে অ্যাজমা হার্টের অসুখ সহ নানা রোগ হতে পারে। শুধু তাই নয় দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও হতে পারে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা।
  • শারীরিক সমস্যা: অনেক ক্ষেত্রে ছেলেদের অন্ডকোষে আঘাত কিংবা ভ্যারিকোসিল হলে শুক্রানোর উৎপাদন কমে যায়। ফলে গর্ভধারণ সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।

আরও পড়ুন:- বাচ্চা না হলে কি কি টেস্ট করতে হয়

দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার প্রতিকার

যদি যদি স্বামী স্ত্রী উভয় সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এক বছর সহবাসের পরও সফল না হন। তাহলে হতাশ না হয়ে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ দেখা দিলে স্বামী স্ত্রী উভয়কে এক সাথে ডাক্তার দেখাতে হবে। সময়মতো ডাক্তার দেখালে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ সফলতা পাওয়া যায়।

  • চিকিৎসকের পরামর্শ: প্রথমে একজন ফার্টিলিটি স্পেশালিস্ট বা গাইনি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। চিকিৎসক আপনাদের দুজনকেই পরীক্ষা করে সঠিক কারণ নির্ণয় করতে পারবে।
  • স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: বাচ্চা না হলে স্বাস্থকর জীবনযাপনের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। সবসময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • ধুমপান ত্যাগ: ধূমপান ও মদ্যপান উভয় প্রজনন ক্ষমতাকে হ্রাস করে। তাই মদ্যপান ও ধূমপানের মত অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত পরিত্যাগ করতে হবে।
  • মানসিক চাপ কামনো: মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা নানাভাবে শরীরের খারাপ প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপ পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট ও স্পার্মের গুণাগুণ নষ্ট করে। তাই যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন বা অন্যান্য পছন্দের কাজ করে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
  • মহিলাদের টেস্ট: মহিলাদের ক্ষেত্রে হরমন প্রোফাইল ( FSH, LH, AMH, HSG) টেস্ট এবং আল্ট্রাসাউন্ড ডিম্বাশয় ও জরায়ুর পরীক্ষা করতে হবে।
  • পুরুষের টেস্ট: পুরুষদের ক্ষেত্রে সিমেন অ্যানালাইসিস, হরমোন টেস্টোস্টেরন এবং প্রোল্যাকটিন টেস্ট করতে হবে।
  • খাদ্যভ্যাস: প্রোটিন সমৃদ্ধ, আয়রন, জিঙ্ক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ
দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ

দ্বিতীয় বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময়

দ্বিতীয় বাচ্চা নেয়ার সঠিক সময় টা জানা খুবই জরুরী। দ্বিতীয় বাচ্চা নেওয়ার আগে মা এবং প্রথম সন্তানের স্বাস্থ্য, পারিবারিক পরিস্থিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং ব্যক্তিগত ইচ্ছা এসব কিছু দিকে খেয়াল রাখা উচিত। সাধারণত প্রথম সন্তান জন্মের কমপক্ষে ১৮ মাস থেকে দুই বছর ব্যবধানে দ্বিতীয় সন্তানের প্ল্যানিং করা উত্তম। এই সময়টাতে মা তার শারীরিক ও মানসিক শক্তি ফিরে পেতে পারে। পুষ্টি ঘাটতি পূরণ এবং পরবর্তী গর্ভধারনের জন্য এইটুকু সময় যথেষ্ট। তবে খেয়াল রাখতে হবে সময়টা যেন ৫ বছরের বেশি না হয়। এতে কিছু জটিলতা দেখা যেতে পারে। চলুন সমস্যা গুলো দেখে নেয়া যাক:-

১৮ মাসের কম হলে সমস্যা

  • মায়ের ঝুঁকি: রক্তস্বল্পতা, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া প্রথম সন্তান যদি সিজারের মাধ্যমে হয়ে থাকে তাহলে জরায়ু ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
  • ২য় সন্তানের ঝুঁকি: অপুষ্টিহীনতা, অকাল প্রসব এবং কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করার মত কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫ বছরের বেশি হলে সমস্যা

  • মায়ের ঝুঁকি: বয়স বাড়ার সাথে সাথে গর্ভধারণ ঝুঁকিও বাড়ে।যেমন: উচ্চ রক্তচাপ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এবং সিজারিয়ান সেকশনের সম্ভাবনা থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতেও দেখা যায়।

দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার লক্ষণ

উপরে আমরা দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ গুলো জেনেছি। এখন জানাবো দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে। দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার প্রধান লক্ষণ হলো: নিয়মিত ও সুরক্ষিত সহবাসের পরও গর্ভধারণ করতে না পারা। যদি স্বামী স্ত্রী উভয় সপ্তাহে ২-৩ বার ১বছর সহবাসের পর ও সফল হতে না পারে, তাহলে তাকে সেকেন্ডারি ইনফার্টিলিটি বলা হয়। এটি এমন একটি সমস্যা যেখানে স্বামী স্ত্রী পূর্বে একবার সন্তান জন্ম দিয়েছে কিন্তু দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সেকেন্ডারি ইনফার্টিলিটির প্রধান লক্ষণ হচ্ছে গর্ভধারনে ব্যর্থ।দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এটি স্বামী স্ত্রী উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে। চলুন সমস্যা গুলো জেনে নেয়া যাক :

মহিলাদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার লক্ষণ

  • অনিয়মিত মাসিক: যদি অনিয়মিত মাসিক হয় কিংবা মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তবে তা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার নির্দেশ করে।
  • যন্ত্রণাদায়ক মাসিক: মাসিকের সময় যদি অস্বাভাবিক ব্যথা কিংবা রক্তপাত বেশি হয় তবে জরায়ুর সমস্যাকে ইঙ্গিত করে।
  • হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি: প্রথম সন্তান জন্মের পর বা বয়সের কারণে হঠাৎ ওজন বেড়ে গেলে তা আমার মনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
  • যোনি স্রাব: হঠাৎ অতিরিক্ত যৌনস্রাব সংক্রমনের একটি লক্ষণ। যা প্রজনন শাস্তির জন্য ক্ষতিকর।
  • পূর্বে সিজারিয়ান জনিত জটিল কোনো ইতিহাস থাকা।

আরও পড়ুন:- ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং মাসিকের কতদিন আগে হয়

পুরুষদের ক্ষেত্রে বাচ্চা না হওয়ার লক্ষণ

  • ইলেকশন বা বীর্যপাত সংক্রান্ত কোনো সমস্যা তৈরি হওয়া।
  • ধীরে ধীরে যৌন ইচ্ছা কমতে থাকা।
  • অন্ডকোষে ব্যথা অনুভব হওয়া বা ফোলা ভাব মনে করা।
  • পুরুষের শুক্রানোর গুণগত মান কমে গেলে ও অন্যান্য যৌন সমস্যার কারণেও গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে।
দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ
দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ

দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে নারী পুরুষ উভয়ের দিকে খেয়াল করতে হবে। দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। নিচে দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

নারীর ক্ষেত্রে

  • বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে নারীদের ডিম্বাণু সংখ্যা ও গুনগত মান কমতে থাকে। মেয়েদের ৩৫ বছর বয়সের পর থেকে প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে।
  • ডিম্বস্ফোটন সমস্যা: থাইরয়েড সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম, হরমোনের ভারসাম্য হীনতার কারণে ডিম্বস্ফোটন অনিয়মিত হতে পারে আবার নাও হতে পারে।
  • জরায়ুর সমস্যা: প্রথম বাচ্চা ডেলিভারির সময় জরায়ুর টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা জরায়ুর কোনো পরিবর্তন হলে দ্বিতীয় বাচ্চা গর্ভধারনে সমস্যা হতে পারে।

পুরুষের ক্ষেত্রে

  • বয়স: ছেলেদের বয়স ৪০ হলে ধীরে ধীরে শুক্রানোর সংখ্যা ও গুনগত মান কমে যায়। দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ হিসেবে বয়স দ্বায়ী।
  • স্বাস্থগত সমস্যা: উচ্চরক্তচাপ চাপ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগ শুক্রানোর মান কমিয়ে দিতে পারে।

আরও পড়ুন:- প্রথমবার সহবাস করলে কি রক্ত বের হয়

দ্বিতীয় বার বাচ্চা হতে সমস্যা হলে হতাশ না হয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দ্রুত একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া জরুরী।

  • মহিলার টেস্ট: মহিলাদের হরমোন টেস্ট ( FSH, LH, AMH, HSG) টেস্ট আল্ট্রাসাউন্ড টেস্ট, জরায়ুর পরীক্ষা করতে হবে।
  • পুরুষের টেস্ট: পুরুষদের সিমেন অ্যানালাইসিস, হরমোন টেস্ট, প্রোক্যালেকটিন পরিক্ষা করতে হবে।
  • জীবনযাত্রার পরিবর্তন: নিয়মিত পুষ্টিকর ও সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে। ওজন বজায় রাখার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ধূমপানো মধ্যপন থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • মানসিক চাপমুক্ত : নিয়মিত ব্যায়াম, মেডিটেশন বা পছন্দের কাজ করে মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

বাচ্চা না হওয়ার কারণ কী

সন্তান ধারণ করতে না পারাটা প্রত্যেক দম্পতির জন্য বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা। বাচ্চা না হওয়ার কারণ কি এটা আমরা অনেকেই বুঝিনা। দীর্ঘদিন চেষ্টা করার পরও যখন গর্ভধারণ সম্ভব হয় না, তখন এটিকে বলা হয় বন্ধ্যাত্ব। নারী পুরুষ ও এর শারীরিক সমস্যার কারণে এমনটা হতে পারে। নারী ও পুরুষের নানা রকম সমস্যা অচেনা হওয়ার প্রধান কারণ। মহিলাদের বয়স বৃদ্ধি, জরায়ুর সমস্যা, ডিম্বস্ফোটনের সমস্যা, অনিয়মিত মাসিক, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মহিলাদের বাচ্চা না হওয়ার প্রধান কারণ।

দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ
দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ

পুরুষের শুক্রাণু সমস্যা, হরমোনের সমস্যা, ভ্যারিকোসিল, মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়া ধূমপান, মধ্য পান, অতিরিক্ত ওজনের তারতম্য বাচ্চা না হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। স্বামী স্ত্রী একসাথে সপ্তাহে ২-৩ বার ১ বছর নিয়মিত মিলন করার পরও সফল হতে না পারলে, এবং আপনার বয়স যদি ৩৫ এর কম বা বেশি হয়, তাহলে দেরি না করে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। মনে রাখবেন বন্ধ্যাত্ব কোন রোগ নয়, এটি শারীরিক একটি অবস্থা মাত্র। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারলে বাচ্ছা দান ক্ষমতা ৬৫/৭০% ভাগ বেড়ে যায়। নারীদের বয়স ৩৫ বছর পার হলে উর্বরতা দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে।

আমাদের আজকের আয়োজন ছিলো দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ প্রতিকার সম্পর্কে। দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার পেছনে শারীরিক, হরমোন, বয়স ইত্যাদি সমস্যা কাজ করে। প্রতিটি দম্পতির পরিস্থিতি ভিন্ন। বন্ধ্যাত্ব কোন রোগ নয়, সঠিক সময় চিকিৎসা নিতে পারলে, বাচ্চা হওয়া সম্ভব। দ্বিতীয় সন্তান না হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা এবং এর সমাধান সম্ভব। বাচ্চা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই বয়স বিবেচনা করা উচিত। বয়স বাড়ার পূর্বে বাচ্চা নাও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারলে এবং জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন করতে পারলে, বাচ্চা হওয়া সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। যেহেতু আমাদের আজকের পোস্ট ছিলো এটা হচ্ছে না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সেহেতু আসা করি অনেকে উপকৃত হতে পারবেন। আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

ponamas। পোনামাছ। দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ। দ্বিতীয় বাচ্চা নেয়ার সঠিক সময়। বাচ্চা না হওয়ার কারণ কী। দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার লক্ষণ।দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার প্রতিকার।

ছবি সংগ্রহীত।

Leave a Comment