আমাদের আজকের আয়োজন পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ সম্পর্কিত। পিরিয়ড বা গর্ভবতী হওয়ার পূর্বেই কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে যে লক্ষণ দেখা যায় তা PMS নামে পরিচিত। আবার গর্ভবতী হওয়ার আগেও কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যা থেকে বুঝা যা নারীটি মা হতে চলেছে। অনেকে পিরিয়ডের লক্ষণের সাথে গর্ভাবস্থার লক্ষণ কে মিলিয়ে ফেলে। তাই আজ আমরা জানাতে চলেছি পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ :-
পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ
পিরিয়ড শুরু হওয়ার ৭-১৪ দিন আগে থেকে পিরিয়ডের লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। কারো কারো ক্ষেত্রে ২-১ দিন আগে পরেও হতে পারে। পিরিয়ড হওয়ার লক্ষণ গুলো জেনে নিন :-

পিরিয়ড হওয়ার লক্ষণ
- খিচুনি হতে পারে
- বমিবমি ভাব
- মেজাজ খিটখিটে
- তলপেটে ব্যথা অনুভব
- ব্রণ বা পিম্পল দেখা দিতে পারে
- স্তনে ব্যথা
- শরীর ফুলে যাওয়া
- মানসিক উত্তেজনা
- বিরক্তি বা ক্লান্তি বোধ
- ওজন বেড়ে যাওয়া
- সাদা স্রাব
- খাবারের প্রতি অনিহা বা বার বার খিদে পাওয়া
- মাথা ব্যথা
প্রত্যেক নারী মা হওয়ার আগে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রেগনেন্সির প্রাথমিক লক্ষণ গুলো দেখেই যে কোনো নারী বুঝতে পারে সে গর্ভবতী হতে চলেছে। তবে অনেকেই পিরিয়ডের লক্ষণ গুলোর সাথে গর্ভাবস্থার লক্ষণ গুলিয়ে ফেলে। চলুন গর্ভাবস্থার লক্ষণ গুলো জেনে নেই :-

গর্ভাবস্থার লক্ষণ
- যৌনি পথে হালকা রক্তপাত
- মাথা ঘুরানো
- পেট ফুলে যাওয়া
- বুক জ্বালাপোড়া করা
- ঘন ঘন টয়লেট পাওয়া
- ক্ষুধা মন্দা বা অরুচি
- পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া
- স্তনের পরিবর্তন ( বড় হওয়া বা নরম হওয়া)
- বমি বমি ভাব বা মর্নিং সিকনেস।
- মাথা ব্যথা অনুভব
- তলপেটে ব্যথা অনুভব
- অতিরিক্ত লালা তৈরি হওয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- স্তনে ব্যথা অনুভব হওয়া
আরও পড়ুন:- পিরিয়ডের আগে সাদা স্রাব গর্ভাবস্থার লক্ষণ
আমাদের আজকের আয়োজন ছিলো পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ। পিরিয়ড ও গর্ভাবস্থা একটি প্রাকৃতিক নিয়ম। প্রেগনেন্সির লক্ষণগুলো একেক জনের মধ্যে একেক সময় দেখা দিতে পারে। লক্ষণগুলো কারো কারো ক্ষেত্রে কম বেশিও হতে পারে। আপনি প্রেগন্যান্ট কি না তা জানার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলো প্রেগনেন্সি টেস্ট করা। নিশ্চিত হতে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ponamas।পোনামাছ। পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ।
ছবি সংগ্রহীত।