যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়
যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়

যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়

আমাদের আজকের আয়োজন যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কিত। যৌনাঙ্গে ইচিং বা চুলকানি মেয়েদের কমন একটি সমস্যা। যে কোনো বয়সের মেয়েদের যোনিতে চুলকানি বা জ্বালা অনুভব হতে পারে। বিভিন্ন কারণে যৌনি পথে চুলকানি বা জ্বালা হতে পারে যেমন: ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক জনিত সংক্রমণ,শারীরিক মিলন, হরমোন থেরাপি, জন্মনিরোধক ঔষধ ইত্যাদি। যোনি পথকে সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। চলুন জেনে নেই যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায় :-

যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়

অ্যাপল সিডার ভিনেগার

অ্যাপল সিডার ভিনেগার এ রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান যা ছত্রাকের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানির সাথে দুই টেবিল চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে দুইবার ব্যবহার করুন। এর পাশাপাশি গরম পানি বা মধুর সাথে ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন। এতে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়। যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
দইয়ের ব্যবহার

দইয়ে রয়েছে lactrobacillus acidophilus নামক ব্যাকটেরিয়া যা ব্যবহারে যোনি পথের চুলকানি ও জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দই যোনিপথের চুলকানি ও জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি রোধ করে। প্রথমে এক টুকরা পরিষ্কার কাপড় বা তুলো নিন। এবার এই তুলো বা কাপড় ঘন্টা খানেক দইয়ে ভিজিয়ে রাখুন রাখুন। এবার এই কাপড় যৌনি পথে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুইবার ব্যবহার করুন।

নারকেল তেলের ব্যবহার

নারকেল তেলের রয়েছে অ্যান্টি ফানগাল যা ছত্রাকের বিরুদ্ধে খুব ভালো কাজ করে। দিনে দুই থেকে তিনবার যৌবনে পথে নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখুন। যৌনির ভিতরে লাগানো যাবে না।

মধুর ব্যবহার

মধুতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ছত্রাক ও রোগ জীবাণুর সংক্রমণ রোধে কার্যকরি। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুইবার যোনি পথে মধু মালিশ করুন। ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।পাশাপাশি দিনে কয়েকবার মধু খেতেও পারেন।

মধু
মধু
বরফের ব্যবহার

যৌনি পথের চুলকানি কমাতে বরফের সেঁক বেশ কার্যকরী। যোনি পথে বরফ ব্যবহার করলে তাৎক্ষণিক ভাবে চুলকানি থেমে যায়। যখন অসহ্য চুলকানি অনুভূত হয় তখন এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।

নিম পাতার ব্যবহার

যোনি পথের চুলকানি কমাতে প্রাচীনকাল থেকে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। যোনি পথে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া কমাতে নিম পাতা বেশ কার্যকরি। বিশুদ্ধ পানির সাথে নিমপাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা করে যোনিপথে ব্যবহার করুন। কয়েকদিন ব্যবহারেই ভালো ফলাফল দেখা যাবে। যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে নিম পাতার এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।

যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়
যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়
লবণ পানির ব্যবহার

যৌনি পথে জ্বালা বা চুলকানি কমাতে লবণ পানির ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকেই দেখা যায়। এজন্য পানির সাথে বিশুদ্ধ লবণ মিশিয়ে যৌনি পথ পরিষ্কার করুন। এছাড়া একটি বলে হালকা গরম পানির সাথে বিশুদ্ধ লবণ মিশিয়ে ১০-১৫মিনিট বসে থাকুন। খুব ভালো উপকার পাবেন।

যোনিতে চুলকানি প্রতিরোধ

যে কোনো অসুখ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। চুলকানি হওয়ার আগে বা ভালো হওয়ার পর বেশ কিছু কথা মেনে চলুন।

  • ভেজা কাপড় বা অন্তর্বাস কাপড় পড়া থেকে বিরত থাকুন।
  • টাইট প্যান্টি বা লেগিংস এরিয়ে চলুন।
  • স্যানেটারি প্যাড সময় মতো পরিবর্তন করা।
  • যোনি পথে সুগন্ধি যুক্ত সাবান বা টিস্যু ব্যবহার করবেন না।
  • সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করুন।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • বেশি বেশি দই খান।
  • যোনি পথ নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
  • বেশি বেশি পানি পান করুন।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • যৌনাঙ্গে গরম পানি ব্যবহার করবেন না।
  • সহবাসের পর যৌনাঙ্গ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
  • একাধিক ব্যক্তির সাথে সহবাস এড়িয়ে চলুন।
  • নিয়মিত গোসল করুন।
  • যৌনাঙ্গে সাবান ব্যবহার পরিহার করুন।
আরও পড়ুন:- যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম

আমাদের আজকের আয়োজন ছিলো যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কিত। সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ponamas। পোনামাছ। যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়।

ছবি সংগ্রহীত।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *