মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায়
মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায়

মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায়

আমাদের আজকের আয়োজন মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। ব্রণ আমাদের প্রতিদিনের ভোগান্তির কারণ। এটি আমাদের চেহারার সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেয়। আমাদের ত্বকের তৈলগ্রন্থী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে, এর ভেতর পুঁজ তৈরি হয় যা পরে ব্রণের আকার ধারন করে। সাধারণত টিনেজ বয়সের ছেলে মেয়েরা এ সমস্যায় বেশি শিকার হয়। ব্রণ হলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন।আজ আমরা দেখাতে চলেছি মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায়। বাজারের দামি কসমেটিকসের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারই এক্ষেত্রে বেশি উপকারী। তাই ব্রণ হলে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করার চেষ্টা করুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায় :-

মুখে ব্রণ হলে কি করা উচিত ঘরোয়া উপায় :-

আপেল সাইডার ভিনেগার

আপেল সাইডার ভিনেগারে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যা ত্বকের ph স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে। একভাগ আপেল সাইডার ভিডনেগার ও দুই ভাগ পানি এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি তুলির সাহায্যে ব্রণে লাগান। ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুইবার ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। যা আমাদের ত্বককে প্রশমিত করার পাশাপাশি ব্রণ নিরাময় করে। অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগিয়ে ৩০মিনিটের জন্য রেখে দিন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুইবার ব্যবহার করুন।

মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায়
মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায়
শশার রস

ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাবের জন্য ব্রণ হয়ে থাকে। তেলতেলে ভাব দূর করতে শশার রস খুবই কার্যকর। বাইরে থেকে ফিরে এসে শশার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।

মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায়
মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায়
চন্দনকাঠের গুঁড়ো ও কাঁচা হলুদ

রূপচর্চার জন্য চন্দন কাঠের ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। চন্দন কাঠের গুঁড়া ও কাঁচা হলুদ ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর উপাদান। সমপরিমান চন্দনকাঠের গুঁড়ো ও কাঁচা হলুদ বাটা এক সাথে মিশিয়ে পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে শুকানোর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ব্রণ দূর করার পাশাপাশি ব্রণের দাগও দূর করতে পারে। মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায়, এটি যদি আপনি খুঁজে থাকেন তাহলে এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারে।

টি ট্রি অয়েল

টি ট্রি অয়েল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া সম্পন্ন। যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমাতে এবং প্রদাহ প্রশমিত করতে সাহায্য করে। নারিকেল তেলের সাথে কয়েক ফোঁটা   টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার একটি তুলোর সাহায্যে আক্রান্ত জায়গায় লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুইবার ব্যবহার করুন।

তুলসি পাতা রস

তুলসি পাতায় রয়েছে আয়ুর্বেদিক গুণ। তুলসি পাতার রস ব্রণের জন্য খুবই উপকারী। তুলসি পাতার রস করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ডিমের সাদা অংশ

ত্বকের খসখসে ভাব দূর করতে ডিমের সাদা অংশ খুবই কার্যকর। রাতে শোয়ার আগে ডিমের সাদা অংশ আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ভালো ফলাফলের জন্য এর সাথে লেবুর রস যোগ করতে পারে। লাগানোর ২০মিমিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেল।

মধু ও আপেলের মিশ্রণ

প্রাচীনকাল থেকেই মুখের ব্রণের দাগ দূর করার জন্য মধু ও আপেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রথমেই আপেল ব্লেন্ডার এ ব্লেড করে। এবার আপেলের পেস্টের সাথে ৫-৬ ফোঁটা মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলা ফলের জন্য সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় বার ব্যবহার করুন।

স্বাস্থ্যবিধি
  • প্রতিদিন গোসল করুন
  • সাবান এড়িয়ে চলুন
  • ব্রণে হাত লাগাবেন না
  • রোদ এড়িয়ে চলুন
  • ফাউন্ডেশন ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
  • ফাষ্টফুড এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন :- বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমাদের আজকের আয়োজন ছিল মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রত্যেকটি উপায়ই কার্যকরী।  আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। এছাড়া বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

ponamas। পোনামাছ। মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায়।

ছবি সংগ্রহীত। 

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *