আমাদের আজকের আয়োজন ভার্জিনিটি কিভাবে নষ্ট হয় সম্পর্কে। অনেক মেয়েরা নিজেদের কুমারীত্ব নিয়ে চিন্তায় থাকে। তাই তারা প্রশ্ন করে থাকে, ভার্জিনিটি কিভাবে নষ্ট হয়? হাইমেন পর্দাকে মেয়েদের ভার্জিনিটি বলা হয়। সতীচ্ছেদ পর্দা হলো যোনিদ্বারের একটি পাতলা টিস্যু। অনেকে মনে করে থাকে মেয়েদের হাইমেন পর্দা যোনিপথকে সম্পূর্ন ঢেকে রাখে। আর প্রথম সহবাসের সময় তা ছিড়ে যায়। এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভূল। কারণ হাইমেন পর্দা মেয়েদের যোনিপথকে সম্পূর্ণ ঢেকে রাখে না। তাই যদি হতো তাহলে পিরিয়ডের সময় মেয়েদের যোনিপথে রক্ত কিভাবে বের হতো? হাইমেন পর্দাটা মেয়েদের যোনিপথের চারিদিকে থাকে। যা যোনিপথকে ছোট ও টাইট করে রাখে। অনেক ভাবে এই হাইমেন পর্দা ছিড়ে যেতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক, ভার্জিনিটি কিভাবে নষ্ট হয় :-

আরও পড়ুন:- ভার্জিন ফিরে পাওয়ার উপায়
ভার্জিনিটি কিভাবে নষ্ট হয়
- যৌনমিলনের মাধ্যমে মেয়েদের ভার্জিনিটি নষ্ট হয়ে থাকে। মেয়েরা যখন প্রথম সহবাসে লিপ্ত হয় তখন তারা নিজেদের ভার্জিনিটি হারিয়ে ফেলে। সহবাস বা যৌনমিলনের পর মেয়েরা আর ভার্জিন থাকে না। সেটা হোক ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। একবার সহবাস করে ফেললেই মেয়েদের ভার্জিনিটি নষ্ট হয়ে যায়।
- অনেক মেয়েরা আঘাতের মাধ্যমে তাদের নিজেদের ভার্জিনিটি হারিয়ে থাকে। কোনো দূর্ঘটনার ফলে মেয়েদের পায়ের ফাঁকে আঘাত লাগলে তাদের হাইমেন পর্দা ছিঁড়ে যেতে পারে না। হাইমেন পর্দা যোনিপথের কোনো দেয়াল না। তাই জোরে টান লাগলে মেয়েদের হাইমেন পর্দা ছিঁড়ে যেতে পারে।
- বিয়ের আগে অনেক মেয়েরা ছেলেদের মতো মাঠে খেলা ধুলা করে। দৌড় ঝাপ, সাঁতার, সাইকেল চলানো ইত্যাদি কারণে হাইমেন পর্দায় টান লেগে ছিঁড়ে যেতে পারে। অনেকে বোকার মতো বলে থাকে যোনিতে কিছু না ঢুকলে পর্দা কিভাবে ফেটে যায়। তাদের জানা দরকার হাইমেন পর্দাটা দেয়ালের মতো না। এটা যোনির চারপাশে গোল আকারে থাকে।
- অনেকের যোনিপথে বিভিন্ন রোগব্যাধি হয়ে থাকে। তখন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এসব চিকিৎসা করতে গিয়ে মেয়েদের ভার্জিনিটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই যোনিপথে চিকিৎসার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সিঁড়ি চড়তে গিয়ে মেয়েরা ভার্জিনিটি হারিয়ে ফেলে। অনেক মেয়েরা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে সিঁড়িতে দৌড়াদৌড়ি করে। এতে যোনির হাইমেন পর্দায় টান লেগে যায়। ফলে মেয়েদের ভার্জিনিটি নষ্ট হয়ে যায়।
- পিরিয়ড বা মাসিক চলাকালীন অনেক মেয়েরা ট্যাম্পন ব্যবহার করে থাকে।এসব ট্যাম্পন যোনিপথে চাপ সৃষ্টি করে। ট্যাম্পনের চাপে অনেক সময় মেয়েদের হাইমেন পর্দা ছিড়ে যেতে পারে। পিরিয়ডের সময় অসাবধানতা বশে ট্যাম্পনের আঘাতে অনেক মেয়ের ভার্জিনিটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- অনেক মেয়েদের বিয়ের আগে হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকে। হস্তমৈথুনের সময় হাতের চাপ বা আঘাত লাগে। হস্তমৈথুনের সময় হাতের আঘাতে মেয়েদের হাইমেন পর্দা ছিঁড়ে যায়। যে সব মেয়েরা বিয়ের আগে হস্তমৈথুন করে তারা এর মাধ্যমেই তাদের হাইমেন পর্দা ছিড়ে থাকে।
- গবেষনায় দেখা যায় অনেক মেয়েদের জন্মের সময় থেকেই হাইমেন পর্দা থাকে না বা অনেক পাতলা থাকে যা আঘাতেই ভেঙে যায়। আবার অনেকের হাইমেন পর্দা অনেক বেশি মোটা থাকে। ফলে সহবাসের সময় হাইমেন পর্দা ছিড়ে প্রচুর রক্তপাত হতে পারে।

আরও পড়ুন:- কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায়
আমাদের আজকের আয়োজন ছিলো ভার্জিনিটি কিভাবে নষ্ট হয় সেই সম্পর্কে। নানা ভাবে মেয়েরা তাদের ভার্জিনিটি হারিয়ে থাকে। সাধারনত যৌনমিলনের মাধ্যমে মেয়েরা তাদের ভার্জিনিটি হারিয়ে থাকে।তবে অনেক মেয়েরা শারীরিক আঘাত বা কার্যকলাপের কারণেও তাদের ভার্জিনিটি হারিয়ে থাকে। ভার্জিন মেয়েদের যোনিপথের হাইমেন পর্দা অক্ষত অবস্থায় থাকে। তবে এই পর্দা নরম ও পাতলা হওয়ায় নানা ভাবে ছিঁড়ে যেতে পারে। তবে অনেকে মনে করে তাকে শুধু যৌনমিলনের ফলেই হাইমেন পর্দা ছিঁড়ে যায়। কথাটা একদমই ঠিক না। নানা ভাবে হাইমেন পর্দা ছিড়ে মেয়েরা ভার্জিনিটি হারাতে পারে।

Ponama। পোনামাছ। ভার্জিনিটি কিভাবে নষ্ট হয়
ছবি সংগ্রহীত।
