নবজাতকের চর্মরোগ হলে করণীয়
নবজাতকের চর্মরোগ হলে করণীয়

নবজাতকের চর্মরোগ হলে করণীয় কী?

শিশুদের ত্বক খুবই সংবেদনশীল। তাই নবজাতকের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় আমাদের অজ্ঞতার কারণে সৃষ্ট চর্মরোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই নবজাতকের চর্মরোগ হলে করনীয় সম্পর্কে আমাদের জানা থাকা জরুরী। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো কোন বড় সমস্যা নয় এবং ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সময় মত সঠিক চিকিৎসা ও ত্বকের সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সহজেই এ জাতীয় জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।নবজাতকের চর্মরোগ হলে করণীয় সম্পর্কে মা হিসেবে আপনার জানাটা অবশ্যই জরুরী। অসাবধানতার কারণেই সাধারণ রোগ জটিল আকার ধারণ করতে পারে। চলুন তাহলেই জেনে নেয়া যাক,  নবজাতকের চর্মরোগ হলে করণীয় কী ? 

মাসিপিসি বা এরিথমা টক্সিকাম নিউন্যাটুরিয়াম :-

‎(এরিথমা টক্সিকাম নিউন্যাটুরিয়াম) গ্রামের মায়েরা এ জাতীয় রোগকে মাসিপিসি বলে থাকেন। মাসিপিসি শিশুদের একটি সাধারণ রোগ। জন্মের তিন থেকে চার দিন পর শিশুদের শরীরে লাল লাল রেশ দেখা যায়।  দশ দিন পর কোন প্রকার ওষুধ ছাড়াই মাসিপিসি এমনি ভালো হয়ে যায়। 

নবজাতকের চর্মরোগ হলে করণীয়

ক্যারাডাল ক্যাপ :-

ক্যারাডাল ক্যাপ বরফের সাদা আস্তরণের মতো দেখতে। শিশুদের মাথার উপরে এটি দেখতে পাওয়া যায়। এটি দেখতে অনেকটা খুশকির মত। ক্যারাডাল ক্যাপ সাধারণত বাদামী বা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। কখনো কখনো তেল তেলে ভাব বা বাজে গন্ধও পাওয়া যায়। শিশুর বয়স ছয় মাস হলে ক্যারাডাল ক্যাপ আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। 

ঘামাচি বা প্রিকলি হিট :-

প্রচন্ড গরমে মানুষ নানাভাবে কষ্ট পায়। প্রচন্ড গরম থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় নবজাতককে গরম কাপড়ে জড়িয়ে রাখা হয়। এর ফলে লাল বা সাদা রং বিশিষ্ট ঘামাচি দানা দেখা যায়। ঘামাচি যদিও সাধারন ব্যাপার কিন্তু সঠিকভাবে পরিচর্যা করা না হলে জটিল সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে শিশুদের একটু খোলামেলা জায়গায় রাখুন। ঘামাচি যদি হয়েই যায় তাহলে যে কোনো ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করুন। 

ন্যাপকিন র‍্যাশ বা ডায়াপার র‍্যাশ :-

অনেক সময় শিশুদের ডায়াপার পড়ানোর জন্য লাল লাল র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। শরীরের যেসব জায়গায় কাপড়ের স্পর্শ আসে সেখানেই তৈরি হয় এ জাতীয় র‍্যাশ। যেসব বাচ্চাদের ডায়াপার সারা রাতে একবারও বদলানো হয় না তাদের ক্ষেত্রেই এ সমস্যাটি বেশি হয়। এ অবস্থায় কিছুদিনের জন্য কাপড় না পরানোই ভালো। 

পাঁচড়া চুলকানি বা ক্যাবিস :-

খোসপাঁচড়া একটি ছোঁয়াচে রোগ। নবজাতকের যেসব চর্মরোগ হয়ে থাকে তার মধ্যে পাঁচড়া  চুলকানি তুলনামূলক জটিলতম। এমন অবস্থায় হাত ও পায়ের তালু, নাভি, বগলে, গলা আঙুলের ভাঁজে ভাঁজে ছোট ছোট গোটা আকারে চুলকানি দেখা যায়।  এমন হলে দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। 

শিশুর ব্রণ বা পিম্পল :-

অনেক সময় নবজাতকের মুখেও পিম্পল বা ব্রণ দেখা যায়। এটি তরুণ তরুণীদের ব্রনের মত নয়। মায়ের রক্তের হরমোনের প্রভাবেই সাধারণত শিশুদের ব্রণ হয়ে থাকে। সাধারণত এ ধরনের ব্রণের জন্য চিকিৎসার কোনো প্রয়োজন নেই। কিছুদিন পর আপনা আপনি ভালো হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:- গোলাপ ফুলের চা রেসিপি

শিশুদের যে কোন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিবেন। নবজাতকের চর্মরোগ হলে করণীয় সম্পর্কে মা হিসেবে আপনার জানাটা অবশ্যই জরুরী। আমাদের আজকের আয়োজনটি ছিল নবজাতকের চর্মরোগ হলে করণীয় কী? আশা করি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন। 

ponamas। পোনামাছ। what to do if the skin disease of the newborn। নবজাতকের চর্মরোগ হলে করণীয় কী। 

‎ছবি সংগ্রহীত। 

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *