টক দই বানানোর রেসিপি
টক দই বানানোর রেসিপি

টক দই বানানোর রেসিপি

টক দই বানানোর রেসিপি নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।বাঙালির শেষ পাতে দই না হলে একেবারেই চলে না। তবে স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করলে টক দই খাওয়াটাই বেশি উপকারী। টক দই (Tok Doi)  খাওয়ার উপকারিতা অনেক। রান্না থেকে শুরু করে রূপচর্চা সহ কত ভাবেই না টক দই ব্যবহার করা হয়। তাই আজ আমরা দেখাতে চলেছি, টক দই বানানোর রেসিপি (tok doi recipe)। প্রতিদিন এক বাটি করে টক দই খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। খুব সহজেই তৈরি করা যায় সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর টক দই। চলুন দেরি না করে দেখে নেয়া যাক, টক দই বানানোর রেসিপি :-

টক দই বানানোর রেসিপি

‎টক দই বানানোর উপকরণ :-

  • দুধ- দেড় লিটার
  • ‎টাটকা টক দই- চার টেবিল চামচ ‎
  • গুঁড়া দুধ- আধা কাপ।
আরও পড়ুন :- দোসা রেসিপি

‎টক দই বানানোর পদ্ধতি (how to make tok doi)  :-

১) প্রথমে দুধগুলো একটি কড়াইতে নিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে থাকুন। দুধ কিছুটা কমে এলে একটা কাপে অল্প গরম দুধ তুলে নিন এবং এর মধ্যে গুড়া মিশিয়ে নিন আর বাকি দুধের মধ্যে ঢেলে দিন। দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ‎

২) এবার চামচ দিয়ে নেড়ে দুধ ঠান্ডা করে নিন। ( খেয়াল রাখবেন যেন পুরোপুরি ঠান্ডা না হয়ে যায়)।  এ সময় দুধ কুসুম গরম রাখতে হবে। ছাকনা দিয়ে ছেকে দুধের উপর থেকে সর উঠিয়ে নিন। সর থাকলে দই ভালো জমে না।‎

৩) এবার একটি বাটিতে টক দই নিয়ে চামচ দিয়ে সামান্য ফেটে নিন। এবার কুসুম গরম দুধে টক দই ঢেলে দিন এবং চামচের সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ‎

৪) এবার যে পাত্রে দই বসাবেন সেই পাত্রে দই মেশানো দুধ ঢেলে ভালোভাবে ঢেকে রান্না ঘরে একটি গরম জায়গায় রেখে দিন। এভাবে আট থেকে নয় ঘন্টা রেখে দিলে দই জমে যাবে। এবার ফ্রিজের নরমালে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা রেখে দিন।

‎ব্যস প্রস্তত হয়ে গেল মজাদার টক দই বানানোর রেসিপি। ফ্রিজে ঠান্ডা হয়েছে সেট হয়ে গেলে বের করে পরিবেশন করুন। দই বসানোর জন্য মাটির পাত্র সবচেয়ে উপযোগী।

টক দই খাওয়ার উপকারিতা:-

টক দইতে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, প্রোবায়োটিক ও খনিজ পদার্থ। টক দই বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে ও হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখে। দইতে রয়েছে খনিজ যা হাড় ও দাত শক্তিশালী করতে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমাতে এবং সামগ্রিক কঙ্কালের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুই প্রোটিন ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। নিয়মিত দই খেলে চুল ও ত্বকের পুষ্টি গুনাগুন ঠিক থাকে।

টক দই এর ক্ষতিকর দিক:-

টক দইতে প্রচুর পরিমাণে এসিড থাকে যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে। চিকেন বিরিয়ানির সাথে টক দই খাওয়া উচিত না। এতে শরীরের ক্ষতি হয়। টক দই প্রতিদিন খাওয়া জরুরি নয়। টক দই পচনশীল খাবার তাই বেশি খাওয়া ভালো না। নিয়মিত টক দই খেলে হৃদরোগ ও অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

ponamas। পোনামাছ। how to make tok doi recipe। টক দই বানানোর রেসিপি।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *