আমাদের আজকের আয়োজন জামাইকে আদর করার নিয়ম সম্পর্কে। স্বামী স্ত্রী উভয়ের চেষ্টায় সংসার সুখের হয়। সংসার জীবন সুখের করতে স্বামীর পাশাপাশি স্ত্রীর কিছু ভূমিকা থাকে। ভালোবাসা দিয়ে স্বামীর মন জয় করার মাধ্যমে সংসার জীবনে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়। সহবাসের সময় স্বামী মুখ্য ভূমিকা পালন করলেও স্ত্রীরও বেশ কিছু কাজ থাকে। চুপচাপ বিছানার এক কোণায় বসে শুয়ে না থেকে, স্বামীকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করতে পারেন। স্বামী স্ত্রী উভয়ের মাঝে খোলা মেলা সম্পর্ক থাকতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক, জামাইকে আদর করার নিয়ম :-
জামাইকে আদর করার নিয়ম
- স্বামী পছন্দ মতো সাজুন।স্বামী আপনাকে যেভাবে দেখলে খুশি হয় ঠিক সেভাবে সাজুন। তার পছন্দের শাড়ি কিংবা তার পছন্দে কিনে দেয়া কোনো পোশাক। একটু খোলা মেলা পোশাক পড়ার চেষ্টা করুন। যেনো সে দেখলেই কিছুটা রোমান্টিক হয়ে যায়।
- স্বামীর কাছে যাওয়ার আগে গোসল করে নিতে পারেন। এতে শরীর থেকে ঘামের গন্ধ আসবে না। চুলে শেম্পুও করতে পারেন। শরীরে মিষ্টি কোনো সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
- আদরের শুরুটা আপনি করতে পারেন। স্বামীকে জড়িয়ে ধরে চুমু দিয়ে বুঝিয়ে দিন আপনি কি চান। তার বিশেষ বিশেষ জায়গায় আদর করুন যেনো সে গরম হয়ে যায়।
- স্বামীর বিশেষ বিশেষ জায়গায় ম্যাসাজ করুন। এতে সহবাসের স্বামী অনেক তৃপ্তি পাবে। তার সেনসেটিভ জায়গায় আলতো আলতো করে স্পর্শ করুন।
- ঠোঁটে চুমু দেয়ার সময় খুব মনোযোগী হোন। আপনার স্বামীকে ফিল করান এটা কতটা মজার। দুজন দুজনের জিহ্বা নিয়ে খেলা করুন। এতে প্রচুর আনন্দ পাবেন।
- নিজ হাতে স্বামীর শার্ট বা গেঞ্জি খুলে দিন। বুক বের করে হালকা হালকা কিস করুন। চাইলে ঘাড়ে গলায়ও কিস করতে পারেন। ছেলেদের নিপলও মেয়েদের মতো সংবেদনশীল তাইলে এখানেও সময় নিয়ে চুমু দিন।
- স্বামীকেও আহ্বান করুন আপনার কাপড় খোলে দিতে। এতে পুরুষেরা অনেক উত্তেজনা অনুভব করে।
- এবার স্বামীর প্যান্ট খুলতে সাহায্য করুন। সেই সাথে দুই উরুতে চুমু দিতে থাকুন। এমন অবস্থায় ছেলেরা চরম ভাবে উত্তেজিত হয়ে যায়। এসময় চাইলে আপনার স্বামীর পুরুষাঙ্গ নিয়েও একটু খেলা করতে পারেন। হাত দিয়ে আলতো ভাবে স্পর্শ করুন। চাইলে সেখানে চুমু বা চুষেও দিতে পারেন। এটা আপনার রুচির উপর নির্ভর করে। তবে ছেলেরা এই জিনিসটা খুব উপভোগ করে। সহবাসে জামাইকে পূর্ণ তৃপ্তি দিতে জামাইকে আদর করার নিয়ম জানাটা খুব জরুরি।
- এসবের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেনো ব্যথা না পায়। জায়গাটা খুব সংবেদনশীলশীল। হালকা আঘাতে বড় কেনো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।এতটুকু তেই ছেলেরা পাগল হয়ে যায়। কোনো ছেলেই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারবে না।
- সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করলে, আপনি নিজে তা পড়িয়ে দিন।
- ছেলেরা চায় বিভিন্ন পজিশনে মিলন করতে। স্বামীর এমন আহ্বানে সাড়া দিন। বিভিন্ন পজিশন ফলো করলে ছেলেদের দ্রুত বীর্যপাত হয় না।
- এছাড়া মাঝে মাঝে স্বামীকে শুইয়ে দিয়ে আপনি উপরে উঠে যান। স্বামীকে কিছুটা বিশ্রাম নিতে দিন। এতে স্বামীর পার্ফমেন্স খুব ভালো হবে।
- স্বামীর বীর্যপাত ঘনিয়ে এলে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরুন। সহবাসে আরও উৎসাহিত করুন। পারলে কিছুটা খামছে দিন বা কামড়ে দিন।
- সহবাস শেষে স্বামীর পার্ফমেন্স নিয়ে প্রশংসা করুন। স্বামীর কানে কানে বলুন আজ আপনি কতটা সুখি।
- স্বামী ঘুমিয়ে থাকলে তাকে চুমু খান। এই ব্যাপার টা কখনো স্বামী বোঝতে পারলে সারা জীবনেও সে আপনাকে কষ্ট দিবে না।
- মাঝে মাঝে স্বামী সাথে ফোনে উত্তেজনামূলক কথা বলুন। তাকে মিস করার কথা জানান। আপনি তার জন্য অপেক্ষা করছেন তা জানিয়ে দিন।
- স্বাভাবিক সময় স্বামীকে প্রচুর ভালোবাসা দিন। তাকে সন্মান করুন। মুখে মুখে তর্ক করবেন না। সে খেতে ভালোবাসে এমন কিছু রান্না করুন।
- সবসময় বোঝান আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন। কানের কাছে মাঝে মাঝে বলে দিন, “ভালোবাসি আপনাকে”
আরও পড়ুন:- বউকে আদর করার নিয়ম
আমাদের আজকের আয়োজন ছিলো জামাইকে আদর করার নিয়ম সম্পর্কে। জামাইকে খুশি রাখা প্রত্যেকটা নারীর জন্য। স্ত্রীর কাছে সুখি থাকলে ছেলেরা বাইরের মেয়েদের দিকে তাকায় না। ছেলের চরিত্র ঠিক রাখা প্রত্যেক মেয়েদের দায়িত্ব। সহবাসের সময় স্বামীকে সাহায্যে করে সহবাসকে আরও আরামদায়ক করে তুলুন। এতে আপনার স্বামী আপনাকে ছাড়া আর কিছুই বোঝবে না। ঘরে সুখ না পেলে ছেলেদের চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়। অনেক মেয়েরাই এটা বোঝতে চায় না। স্বামীর প্রতিসর্বদা সম্মান প্রদর্শণ করুন। বিছানায় লজ্জা পেয়ে স্বামীর সুখ নষ্ট করা বোকামি ছাড়া কিছুই না। সহবাসে জামাইকে পূর্ণ তৃপ্তি দিতে জামাইকে আদর করার নিয়ম জানাটা খুব জরুরি।
ponamas।পোনামাছ। জামাইকে আদর করার নিয়ম। স্বামীকে আদর করার নিয়ম। স্বামীকে কিভাবে আদর করতে হয়।
ছবি সংগ্রহীত।