কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ

আমাদের আজকের আয়োজন কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ সম্পর্কে। যদি কোনো মেয়ে যৌনমিলন না করে থাকে, তাহলে তাকে কুমারী বলে। কুমারীত্ব হারানো নিয়ে অনেকে আতঙ্কে থাকে। এটা স্বাভাবিক একটা বিষয় এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অনেকে প্রশ্ন করে থাকে, কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ কি? আতঙ্কিত না হয়ে এ সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক, কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ :-

কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ
কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ

কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ

  • কুমারীত্ব হারানোর সময় যোনিপথে প্রচুর টান লাগে এবং হালকা প্রসারিত হয়ে যায়। এর ফলে হালকা ও মাঝারি ব্যথা হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে এই ব্যথা কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিনও থাকতে পারে। তবে কুমারীত্ব হারানোর সময় প্রচুর উত্তেজনা থাকলে যৌনিপথে ব্যথা নাও হতে পারে। প্রথম সহবাসে ব্যথা ও অস্বস্তি স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। অনেক সময় পর্যাপ্ত ফোর প্লের অভাবেও ব্যথা হতে পারে।
  • কুমারীত্ব হারানোর পর যৌনিপথ কিছুটা ফোলে যেতে পারে। এটা কিছু সময়ের জন্য হয়ে থাকে। কিছু সময় পর এই ফোলাভাব আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়।
  • কুমারীত্ব হারানোর সময় হাইমেন ছিঁড়ে হালকা রক্তপাত হতে পারে। আবার অনেকের রক্তপাত নাও হতে পারে। অত্যাধিক ঘর্ষনের ফলে যোনিতে আঘাত লেগেও রক্তপাত হতে পারে।
  • যৌনমিলনে কুমারীত্ব হারানোর পর হাইমেন পর্দা ছিড়ে যেতে পারে। এতে সামান্য ব্যথা ও রক্তপাত হতে পারে। অনেক মেয়ের হাইমেন পর্দা নাও থাকতে পারে। হাইমেন পর্দা না থাকা মানেই কিন্তু ভাবা যাবে না মেয়েটা কুমারী না। অনেক কারণে মেয়েদের হাইমেন পর্দা ছিঁড়ে যেতে পারে। আবার জন্মগত ভাবে অনেক মেয়ের হাইমেন পর্দা নাও থাকতে পারে। এমনকি যৌন মিলনের পরও অনেক মেয়ের হাইমেন পর্দা ঠিক থাকতে পারে।
  • কুমারীত্ব হারানোর পর মেয়েরা যৌনমিলনের প্রতি উন্মুখ হতে থাকে। ধীরে ধীরে যৌন চাহিদা বাড়তে থাকে। সেই সাথে যৌনমিলনের সময় প্রচুর কামরস বের হতে থাকে।
  • কুমারীত্ব হারানোর পর মেয়েদের ক্লিটোরিস অনেক সংবেদনশীল হয়ে উঠে। যৌনাঙ্গ একটিভ হতে শুরু হয়। এতে সহবাসের সময় যোনিপথ সংকুচিত ও প্রসারিত হতে থাকে।
  • কুমারীত্ব হারানোর পর মেয়েরা যৌনমিলনে প্রচুর স্বাদ পেতে শুরু করে। যৌনমিলনের জন্য পাগল হয়ে থাকে। নিয়মিত যৌনমিলন করতে আগ্রহী থাকে। শরীরে উত্তেজনা ভাব চলে আসে।
  • এসময় মেয়েদের স্তন স্বাভাবিকের চেয়ে সংবেদনশীল হয়ে যায়। আগের চেয়ে অনেকটা দৃঢ় হয়ে থাকে। স্তনে রক্তচলাচল বেড়ে যায় ফলে ধীরে ধীরে স্তন বড় হতে থাকে।
  • কুমারীত্ব হারানোর পর মেয়েদের শরীরে হ্যাপি হরমোন ছড়াতে থাকে। ফলে মেয়েদের চোখে মুখে খুশির একটা ছাপ দেখা যায়। কাজে সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হাসি খুশির দেখা যায়।
  • প্রথমবার সহবাসের পর মেয়েদের অনিয়মিত পিরিয়ড হতে দেখা যেতে পারে। এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।
  • কুমারীত্ব হারানোর পর মেয়েদের মনেরও কিছুটা পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। একটু মানসিক চাপ, উত্তেজনা ও অন্যরকম অনুভূতি হতে পারে। প্রথমবার হওয়ার ফলে এমনটা হয়ে থাকে।
  • কুমারীত্ব হারানোর পর মেয়েদের যোনিপথ কিছুটা ঢিলে হয়ে যায়। যোনির ভিতর ফাঁকা ফাঁকা অনুভব হতে পারে।
  • এসময় মেয়েদের স্তন বৃন্তের সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়৷ সামান্য স্পর্শেই সারা শরীর শিহরিত হয়ে উঠে। স্তনের রক্তচলাচল বেড়ে যায়।
কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ
কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ

আরও পড়ুন:- ভার্জিনিটি কিভাবে নষ্ট হয়

আমাদের আজকের আয়োজন ছিলো কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ সম্পর্কে। কুমারীত্ব হারানোর পর মেয়েদের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। এসব পরিবর্তন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এতে ভয় পাওয়ার বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রত্যেকটা নারীর জীবনেই কুমারীত্ব হারানোর পর এমন পরিবর্তন হয়ে থাকে। কুমারীত্ব হারানোর পর মেয়েরা নতুন এক জীবনে পদার্পন কর থাকে। সেখানে একটু যৌনচাহিদা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। শারীরিকভাবে কুমারীত্ব হারানোর কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষণ নেই।

কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ
কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ

panamas। পোনামাছ। কুমারীত্ব হারানোর শারীরিক লক্ষণ।

ছবি সংগ্রহীত।

Leave a Comment