কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায়

আমাদের আজকের আয়োজন কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায় বা মেয়েদের সতীত্ব পরীক্ষা সম্পর্কে। একটা মেয়ে ভার্জিন কিনা তা জানার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: দুই আঙুল দিয়ে কুমারীত্ব পরিক্ষা, সতীচ্ছদ পর্দা পরিক্ষা, প্রথম সহবাসে রক্তপাত ইত্যাদি। এইরকম কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে বোঝা হয় মেয়েটি কুমারী কিনা। আমাদের অনেকেই মেয়েদের কুমারীত্ব নিয়ে প্রশ্ন করে থাকে। অনেকে এমন প্রশ্নও করে থাকে, বাসর রাতে স্ত্রীর কুমারীত্ব কিভাবে পরিক্ষা করবো। বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা সহকারে আজ আমরা কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায় সম্পর্ক জানাতে চলেছি। আজকের পোস্ট থেকে সত্যি কিছু শিখতে পারবেন।

কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায়

রক্তপাত দেখে সতীচ্ছদ পরিক্ষা

অনেকের ধারণা মেয়েরা কুমারী হলে বাসর রাতে সহবাসের সময় রক্তপাত হবে। এজন্য অনেকে রক্তের দাগ ভালোভাবে বোঝার জন্য বিছানায় সাদা চাদর বিছিয়ে দেয়। কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায় হিসেবে অনেকেই এটি করে থাকে। প্রথম সহবাসে রক্তপাত নিয়ে ১০০ জনের মধ্যে একটা পরিক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা যায় প্রায় ৪৪ জনেই প্রথম সহবাসে রক্তপাত হয় নি। প্রায় অর্ধেকরও বেশি নারীর প্রথম সহবাসে কোনো রক্তপাত হয় নি। এমনকি ১০০জনের মধ্যে ৩৪ জন কোনো প্রকার ব্যথাও পায় নি। গবেষণায় দেখা যায় প্রথম সহবাসে সবার রক্তপাত হয় না। প্রথম সহবাসে রক্তপাত হওয়া বা না হওয়া দুটোই স্বাভাবিক। কোনো কোনো মেয়ের ক্ষেত্রে যোনি পথ পিচ্ছিল না হওয়ার কারনে বা জোর করে পুরুষাঙ্গ ঢোকানোর কারণে যোনি পথের দেয়াল ছিড়ে রক্তপাত হয়ে থাকে।

কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায়
কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায়

সতীচ্ছদ পর্দা দেখে সতীচ্ছেদ পরিক্ষা

আমরা অনেকেই মনে করি সহবাসের সময় কুমারী মেয়েদের সতীচ্ছদ পর্দা ছিড়ে যায়। বা সহবাসের সময় সতীচ্ছদ পর্দা দেখে বোঝা যায় মেয়েটা কুমারী। অনেকেই মনে করে মেয়েদের যোনি পথের পর্দাটা দেয়ালের মতো যা সহবাসের সময় ছিঁড়ে যায়। কথাটা সম্পূর্ণ ভূল। সতীচ্ছদ পর্দা মোটেও দেয়ালের মতো না। হাইমেন বা সতীচ্ছদ পর্দা মোটেও শক্ত কোনো আবরণ না। হাইমেন বা সতীচ্ছদ পর্দা হলো ইলাস্টিক। যা সংকোচ-প্রসারণ বা ছোট বড় হতে পারে। আর এই সতীচ্ছেদ পর্দা থাকে যোনির চারপাশ ঘিরে।

কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায়
কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায়

যোনিপথটা রাবারের মতো যা চাপ প্রয়োগে ছোট বা বড় হতে পারে। এই যোনি পথটা এত বড় হতে পারে যে প্রসবের সময় বাচ্চা হতে পারে। এই পর্দাটা একেক জনের একেক রকম হতে পারে। মেয়েদের জন্মের সময়ই সতীচ্ছদ পর্দা ছেঁড়া বা ফাটা থাকে। কারণ যোনির এই পথ দিয়ে পিরিয়ডের সময় রক্ত বের হয়। যোনির এই ছিদ্রটা কত বড় হবে তা নির্ভর করে মেয়েদের বয়স, উচ্চতা ও ওজনের উপর। আবার সহবাস ছাড়াও হাইমেনে টান পড়ে কিছু অংশ ছিড়ে যেতে পারে।যেমন : খেলা ধুলা, আঘাত পাওয়া বা মাসিকের সময় ট্যাম্পুন ব্যবহার করা ইত্যাদি। এই সব কারণে হাইমেন দেখেই নিশ্চিত হওয়া যাবে না, একজন নারী আগে সহবাস করেছে কি না।

আরও পড়ুন:- ভার্জিন ফিরে পাওয়ার উপায়

দুই আঙুল দিয়ে সতীচ্ছদ পরিক্ষা

দুই আঙুল দিয়ে আগে মেয়েদের সতীচ্ছদ পরিক্ষা করা হতো। এখনো অনেকে এটিকে কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায় হিসেবে বেছে নেন। তবে এই পরিক্ষাটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। তাই অনেক দেশে এই পরিক্ষাকে ব্যান করে দেয়া হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশে এই পরিক্ষাটি ব্যান করা হয়েছে ২০১৮ সালে, ভারতে ব্যান করা হয় ২০২১ সালে। এই পরিক্ষাটি করার জন্য মেয়েদের যোনিতে প্রথমে একটি আঙুল ঢুকাতে হবে। যদি একটি আঙুল ঢুকাতে কষ্ট হয় তাহলে মেয়েটি কুমারী বা একবারের বেশি সহবাস করে নি।

কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায়
কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায়

মেয়েদের যোনিতে দুই আঙুল ঢুকাতে কষ্ট হলে মেয়েটা হয়তো ৪-৫ বার সহবাস করেছে। কোনো বাধা ছাড়াই ২ আঙুল ঢুকে গেলে মেয়েটি অসংখ্য বার সহবাস করেছ। কাজটি করতে হবে খুব ধীরে ধীরে। নয়তো যোনি পথে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আবার বলে রাখছি পরিক্ষাটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। অনেক আগে যখন কুমারীত্ব পরিক্ষা করার কোনো পদ্ধতি ছিলো না তখন এই পদ্ধতি ফলো করা হতো।

আরও পড়ুন:- ভার্জিনিটি কিভাবে নষ্ট হয়

আমাদের আজকের আয়োজন ছিলো কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায় বা মেয়েদের সতীত্ব পরীক্ষা সম্পর্কে। মেয়েদের ভার্জিন পরিক্ষা নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোনো ধারণা নেই। বিভিন্ন কারণে মেয়েদের কুমারীত্ব নষ্ট হতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনার পার্টনারের প্রতি ভালোবাসা ও বিশ্বাসের উপর। নিজের প্রতিবিশ্বাস রাখুন ও ভালোবাসা বজায় রাখুন। শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে কুমারীত্ব নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

Ponamas।পোনামাছ। কুমারীত্ব পরীক্ষা করার উপায়। মেয়েদের সতীত্ব পরীক্ষা।

ছবি সংগ্রহীত।

Leave a Comment